নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মহান মে দিবসের কেন্দ্রীয় সমাবেশ থেকে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
শনিবার (১ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় পুরানা পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। একই সাথে বাশঁখালিসহ সকল শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশ থেকে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী জনতার চলমান অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানো হয়। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল প্রেসক্লাব, কদমফুল ফোয়ারা চত্বর প্রদক্ষিন করে। গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র সভাপতি অ্যাড. মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় নেতা সাদেকুর রহমান শামীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ ক্বাফি রতন, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, কার্যকরি সভাপতি কাজী রুহুল আমীন, পরিবহন শ্রমিকনেতা হযরত আলী, হকার নেতা আব্দুল হাশেম কবির, রিকশা শ্রমিক নেতা আব্দুল কুদ্দুস, সেকেন্দার হায়াত, শাহাদাৎ খাঁ প্রমুখ।
বক্তারা করোনা পরিস্থিতিতে কর্মরত শ্রমিকদের ঝুঁকিভাতা; ২০ রোজার মধ্যে মূল মজুরির সমান বোনাস ও বকেয়া পরিশোধ; বাঁশখালী, রানা প্লাজা ও তাজরিনসহ সকল শ্রমিক হত্যার বিচার; নিহত শ্রমিকদের আইএলও কনভেনশন অনুসারে ক্ষতিপূরণ; অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত; সংবিধান ও আইএলও কনভেনশন অনুসারে শ্রম আইন সংশোধন; গার্মেন্ট শ্রমিকদের জীবন ধারণের উপযোগী মহার্ঘ ভাতা এবং শ্রমিকের রেশন, বাসস্থান, চিকিৎসার জন্য আসন্ন বাজেটে বরাদ্দের দাবি তুলে ধরেন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের প্রতি জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা দাবিতে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পরার আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকদের খাদ্য, জীবন, স্বাস্থ্য এবং চাকুরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, একের পর এক কালাকানুন এবং আইনের বিধিবিধান করার মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার এবং সুযোগা—সুবিধা হরণ করা হচ্ছে। এখনো অধিকাংশ শ্রমিক মে দিবসের সবেতন ছুটি পায় না। শ্রম আইন অনুসারে সুযোগ সুবিধা, চাকুরি ও কর্মস্থলের নিরাপত্তা এবং অবাধে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার থেকে শ্রমিকরা বঞ্চিত। বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্য, বাড়ি ভাড়া ও আবাসন সংকটে শ্রমিকরা বিপর্যস্ত। নারী শ্রমিকরা বৈষম্য ও যৌন হয়রানির শিকার। জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবি আজও উপেক্ষিত। নেতৃবৃন্দ এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে দালালদের খপ্পর থেকে মুক্ত করে, শ্রেণি দৃষ্টিভঙ্গী সম্পন্ন স্বাধীন ও বিপ্লবী ধারায় আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন :‘সরকার শ্রমিকদের অধিকার আদায় নিশ্চিত করেছে’